৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,সকাল ৮:২১

গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত; তীব্র লোডশেডিং

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

 

চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এতে সারাদেশ ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির অফিসিয়াল পরিসংখ্যান বলছে, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১ হাজার ৮৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে দিন শুরু করে। এদিকে দুপুর ১২টায় সারাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহ ছিল ১২ হাজার ৮৭০ মেগাওয়াট। সে সময় সরবরাহে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৭৯৫ মেগাওয়াট।

আবার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়ে। এদিন ঢাকায় ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গেছে। অনেক এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন তারা বিভিন্ন সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ ইউটিলিটি কর্মকর্তারা জানান।

এদিকে পেট্রোবাংলার সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আমদানির এলএনজি সরবরাহ কমে গেছে। এতে দেশে গ্যাস সরবরাহ কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২ হাজার ২৫৩ মিলিয়ন ঘনফুটে (এমএমসিএফডি)।

বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানান, পেট্রোবাংলার এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) থেকে ২৪৩ মিলিয়ন ঘনফুটি নেমে এসেছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

গত ৪ জুলাই মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাজেট-পরবর্তী’ সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। তিনি আরও দাবি করেন, ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। ৭০০ নদীর দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা সত্যিই কঠিন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৫-১৬ জুলাই থেকে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন থাকবে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি আদানিও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের চাপ নেই। এ কারণে গাড়ির লাইন থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গ্যাস-সংকটে পড়েছে শিল্প, আবাসিক ও বিদ্যুৎ খাত।

  • শেয়ার করুন