কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি ঃ খুলনা জেলার কয়রা থানার পুলিশ জানুয়ারী মাসে অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত,জিআর,সিআর ও বন মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৭০ জন আসামী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মাদকদ্রব্য ও হরিণের মাংস। জানা গেছে, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মাসে যোগদান করার পর জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় কয়রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এবং মাদকের উৎপাত বেড়ে যায়। এলাকায় ঘটতে থাকে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। তিনি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এবং মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রেখেছেন। যার ধারাবাহিকতায় কয়রা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে বিভিন্ন মামলার আসামী ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছেন। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ১০ টি। আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন। মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে ১ কেজি ৩৭০ গ্রাম গাজা, ১৭ পিচ ইয়াবা ট্রাবলেট। বনআইনে মামলা হয়েছে ১ টি, হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে ৩৪ কেজি। আসামী গ্রেপ্তার ১ জন। অন্যান্য মামলায় আসামী গ্রেপ্তার ৪ জন,মোট আসামী আটক ১৫ জন। ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী আটক হয়েছে ৫৫ জন। এর মধ্যে জিআর মামলার ১১ জন,সিআর মামলার ৪২ জন ও সিআর মামলার সাজাপ্রাপ্ত ২ জন। এছাড়া রিকল ও ওয়ারেন্ট নিস্পত্তি হয়েছে ১১৪ টি। ওয়ারেন্ট নিস্পত্তি হয়েছে ১৬৯ টি। এর মধ্যে ১১ জানুয়ারী ১৮ মামলার আসামী আসাদুল কে আটক করেছে। জানুয়ারী মাসে মামলা হয়েছে ১৬ টি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রার ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, জুলই-আগস্টের বিপ্লবের পরে ভেঙ্গে পড়া আইনশৃঙ্খখলা পুর্নউদ্ধার ছিলো একটা চ্যালেঞ্জ। তিনি তার মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা সহ সার্বিক বিষয়ে দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে আইনশৃঙ্খলা স্বাভিক পর্যায়ে আনার জন্য চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শরিফুল আলম বলেন, ১৬-১৭ বছর পুলিশের ব্যাপারে মানুষের ভিন্ন ধারনা ছিলো। সেই ধারনার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। পুলিশ সেবার মন মানষিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। তার ন্যায় পরায়নতায় কারনে তিনি মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন, জুলাই-আগস্টের পর ভেঙ্গে পড়া আইন শৃঙাখলা পূর্নউদ্ধার ছিলো একটা চ্যালেঞ্জ। সকলের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভিক রাখার জন্য চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে ,মাদকের সাথে যারাই জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। জনগনের সেবা করাই পুলিশের ধর্ম সেই ব্রত নিয়েই পুলিশ সুপারের নির্দেশে মানুষের সেবা অব্যহত রেখেছি। পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনাই আমার লক্ষ। তিনি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।