২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,ভোর ৫:৫২

শিরোনাম
কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন  আজ তারেক রহমানের জন্মদিন দুদকের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্লুইস গেটের কাজ দেয়ার পয়তারা কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হকের মতবিনিময় কয়রায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে র ্যালী ও আলােচনা সভা কয়রায় মিথ্যা মামলা দি‌য়ে হয়রা‌নি করার প্রতিবা‌দে সংবাদ স‌ম্মেলন কয়রায় অজগার সাপ উদ্ধার পরে সুন্দরবনে অবমুক্তি কয়রায় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তোপের মুখে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম কয়রায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

পাবনার বিখ্যাত প্যারা সন্দেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১

  • শেয়ার করুন

মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। গুড়ের সন্দেশ, চিনির সন্দেশ তো আমরা খেয়েই থাকি, কিন্তু পাবনার প্যারা মিষ্টিটা যেন একটু বেশিই মজা।

মিষ্টির জগতে পাবনার তৈরি খাঁটি দুধের প্যারা মিষ্টি বিভিন্ন জেলা এমনকি দেশের বাইরেও কিনে নিয়ে যান মিষ্টি পছন্দকারীরা।

পাবনার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ভান্ডার প্যারাডাইস, শ্যামল মিষ্টান্ন ভান্ডার, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার, বনলতা সুইটস, তৃপ্তি দই ঘর, বিশ্বাস সুইটস, আরাফাত সুইটস সহ বিভিন্ন দোকানে এই প্যারা বিক্রি করা হয়।

প্যারা মিষ্টি সম্পর্কে কথা বলতেই পাবনা শ্যামল মিষ্টান্ন ভান্ডারের কারিগর আব্দুল মোমিন জানান, প্যারা মিষ্টিটা তৈরি হয় সম্পূর্ণ দুধ দিয়ে। ১ চারে (এক কড়াই) ২০ লিটার দুধের সঙ্গে ৫ কেজি চিনি দিয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে ক্ষির বানাতে হয়। তারপর ওই হালকা নরম ক্ষির দিয়ে প্যারা তৈরি করা হয়। ১ চারে ৭ কেজি প্যারা বানানো সম্ভব। প্যারা মিষ্টি তৈরিতে দুধ চিনি ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা হয় না। খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি হয় বলেই প্যারার স্বাদ অন্য মিষ্টির চেয়ে একটু আলাদা ও সুস্বাদু। প্যারা মিষ্টি শুকনা হওয়ায় দূর-দূরান্তে বহনেও বেশ সুবিধা, আর এ জন্যই মানুষের কাছে এ মিষ্টি একটু বেশি পছন্দের।

প্যারা মিষ্টি সম্পর্কে পাবনার লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্মচারী শংকর বাবু জানান, পাবনার মত প্যারা দেশের অন্য কোনো জেলায় পাওয়া যায় না। অনেকেই তাদের প্যারা সুস্বাদু বলেই কিনে নিয়ে যান। পাবনার প্যারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন উৎসবের (পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা, পরীক্ষার ফলাফল, নববর্ষ) আগে পাবনার প্যারার চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতি কেজি প্যারার দাম ২৫০ টাকা। তবে গ্রীষ্মকালের চাইতে শীতকালে এই মিষ্টির চাহিদা বেশি থাকে।

মিষ্টির জগতে দীর্ঘ দিনের পরিচিত মুখ লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী ভোলা নাথ ঘোষ জানান, তার দোকানে রাজভোগ, রসকন্দা, রসমালাই, কাটাভোগ, অবাক সন্দেশ, প্যারা মিষ্টি বিক্রি করা হলেও প্যারার চাহিদা একটু বেশি। বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন যখন পাবনাতে বেড়াতে আসেন ফেরার পথে তারা পাবনার প্যারা নিয়ে যাবেন আত্মীয়-পরিবার-পরিজনদের জন্য।

লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারে নিয়মিত প্যারা কিনতে আসা পাবনার বিভিন্ন ক্রেতা জানান, তাদের পরিবারে ছেলে-মেয়েরা অন্য মিষ্টি খেলেও প্যারা তাদের অনেক পছন্দের। তাদের মতে প্যারার স্বাদ অন্য মিষ্টির চাইতে আলাদা ও সুস্বাদু।

ঢাকায় বসবাসকারী পাবনার বিভিন্ন ব্যাক্তি বলেন, পাবনার মিষ্টির মধ্যে প্যারা আমাদের কাছে সবচেয়ে সেরা মিষ্টি। আমরা ঢাকায় থাকি কিন্তু যখনই পাবনা আসি ফিরে যাওয়ার সময় আর কিছু না হোক প্যারা কিনে নিয়ে যাই। প্যারা কেনার আরো একটি সুবিধা হলো এই মিষ্টি সহজে বহন করা যায় ও দ্রুত নষ্ট হয় না, ফ্রিজে না রেখেও কয়েকদিন খাওয়া যায়। এ কারণেই পাবনার প্যারা মিষ্টির সেরা।

  • শেয়ার করুন