১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৭:৫৬

কয়রায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রায় অজপাড়াগাঁয়ের এক স্কুল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের পুরাতন ভবন ট্রেন্ডার হওয়ার আগেই গোপনে সমস্ত ইট, দরজা, জানালা ইত্যাদি সামগ্রী বিক্রয় করে টাকা  আত্মসাৎ ও রাজনৈতিক পদে থেকে ইউপি নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি  ভাগবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ভাগবা গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান তার বিরুদ্ধে ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ০১ আগস্ট রবিবার অভিযোগকারী তার ছেলেকে টিফিন দিতে গেলে দেখতে পায় পুরাতন ভবনের ওয়ালের ইট, দরজা, জানালা কিছুই নাই। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন অত্র মালামাল জি এম অদুদ হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক বিক্রয় করে নিজেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ইট টেন্ডার ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জি এম অদুদ হোসেনের সহযোগিতায় ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম অবৈধ ভাবে রাস্তার সোলিং এর কাজেও লাগিয়েছে। তা ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জি এম অদুদ হোসেন বাকি ইট বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করিয়াছে। ইতি মধ্যে ইট ক্রেতারা স্বীকারোক্তী দিয়াছে। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পদে আসীন থেকে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সরাসরি যুক্ত থেকে ইউপি নির্বাচনে সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে অংশগ্রহণসহ অপর পক্ষকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন লোকদের নাশকতা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়সহ তাহার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।

অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু জাফর মুঠোফোনে জানান, ইট দরজা জানালাসহ মালামাল কে বিক্রি করেছে বা কে কিনেছে আমি জানিনা । যেহেতু অদুদ হোসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে সেহেতু দায়ভার তার ওপর বর্তায় । তিনি আওয়ামী লগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এটা সত্যি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাগবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,  জিএম অদুদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো মিথ্যা। এটা স্থানীয় কোন্দল ছাড়া আর কিছুই না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুৃমার মন্ডলের ব্যাবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, আমি বাহিরে আছি, অফিসে পৌঁছানোর পরে কথা হলে তিনি জানান আমি ব্যস্ত আছি , পরে কথা বলছি। এরপর একাধিকবার কল দিলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

  • শেয়ার করুন