২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,বিকাল ৩:০৫

শিরোনাম

কয়রার নাকসায় অবৈধ স্থাপনায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ; উচ্ছেদের দাবি এলাকাবাসির

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রা উপজেলার আমাদী  ইউনিয়নের নাকসা গ্রামের লোকমান সরদারের বাড়ি হইতে হামিদ সানার বাড়ির অভিমুখে রাস্তার প্রধান সড়কের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বিপাকে রয়েছে গ্রামবাসী। অল্প থেকে ভারি বৃষ্টি হলেই পানি বন্দি হয়ে পড়ছে এ সকল পরিবারের সদস্যরা। জলবন্ধতা নিরসনের প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করছে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নাকসা গ্রামবাসী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার কারণে ফসলি জমি সহ শাক সবজি চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর ফসল উৎপাদনে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীর মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ঐ গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রামের প্রধান সড়কের দুই পাশের সরকারি জমিতে যে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা রয়েছে তা কতিপয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে রেখেছে। সেই কারনে পানি নিষ্কাশনের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে লোকমান সরদারের বাড়ি  হইতে হামিদ সানার বাড়ির পর্যন্ত প্রধান সড়কের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনার ফলে বর্ষা মৌসুমের নাম মাত্র বৃষ্টি হলেই নাকসা গ্রামের অধিকাংশ ঘর বাড়ি বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকে। নাজমা খাতুন বলেন, গ্রামের মানুষ জলবদ্ধতার কারণে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থতায় ভোগে। নাকসা গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি আলিয়া মাদ্রাসা আটটি জামে মসজিদ এবং দুইটি হেফজ খানা রয়েছে। সেখানে শত শত শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম থাকে তার একমাত্র কারণ জলবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা বাড়ি সমূহের শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়কে এসে বিদ্যালয় যাতায়াত করতে পারে না। এই গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাঠদানে পিছিয়ে পড়ার কারণে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ার আশংকাও রয়েছে। এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব হয়ে পড়বে। গত রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় এই এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি বর্ষা মৌসুমে কবরস্থান ও বসত বাড়িতে হাঁটুর বেশি পানি থাকে। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় এ সকল জায়গায় এখনও পানি আটকে আছে। এতে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এলাকাবাসী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
  • শেয়ার করুন