প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২২
অস্থির তেলের বাজার। শুধু যে তেলের বাজারে দাম বেড়েছে তা নয়, প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারে জমেছে কালো মেঘ। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বসেছে কারফিউ। এভাবে চলতে থাকলে করোনায় নয়, মৃত্যু হবে খাবারের অভাবে। নিত্যপণ্যের এমন দামের ঝাঁজের সঙ্গে মিলছে না আয়ের হিসাব। পণ্যমূল্যের সঙ্গে পকেটের অবস্থা মিলাতে না পেরে মধ্যবিত্ত হচ্ছে নিম্নবিত্ত, নিম্নবিত্ত হয়ে পড়ছে হতদরিদ্র। দামের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের নাভিশ্বাস।
দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও মুনাফাখোর অসাধু ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বৃদ্ধি করে লুটে নিচ্ছে অর্থনৈতিক ফায়দা। ফলে বাড়ছে নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষদের দৈনন্দিন চাহিদা মিটাতে না পারার হাহাকার। নিত্যপণ্য তেলের আগুনদামে সাধারণ মানুষদের এমন বোবা কান্না দেখার কি কেউ নেই?
ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের জোয়ারে দেশের এত উন্নতি, আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে কী হবে যদি নিত্যপণ্যের দামের এমন আস্ফালন জনগণকে কাঁদায়! দেশের সিংহভাগ মানুষকে এমন দুর্বিষহ অবস্থায় রেখে নিজেদের সম্পদ আহরণের চেষ্টায় মত্ত থাকলে সরকারের এত বছরের উন্নয়নের ছবি স্থিরচিত্র হয়ে ঝুলতে থাকবে মরা সভ্যতার নোনা দেওয়ালে।
সাধারণ মানুষের এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় সুবিধাবাদী অসাধু ব্যবসায়ীদের দমন করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। আমদানি চেইন ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে অনেকাংশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি, অবশ্যই প্রশাসন দ্বারা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।