প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২১
দেশের আলোচিত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে কক্সবাজার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম জানান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আদালতের নির্দেশে প্রদীপকে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রদীপ দাশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নেছার আলম জানান, আলোচিত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপকে দীর্ঘ সাত মাস পর আবারও কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়।
এর আগে আজ সকাল পৌনে ১১টার দিকে ওসি প্রদীপকে নিয়ে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয় একটি দল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার কারণে প্রদীপকে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দুদক প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় প্রদীপকে সরাসরি কক্সবাজারের কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান নেছার আলম।
কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলা কক্সবাজারে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রদীপকে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।
আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। একই বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরদিন ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাবকে। র্যাব মোট ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ ছাড়াও কক্সবাজার আদালতে প্রদীপের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।