প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অবসান হলো বাঙালি জাতির দীর্ঘ অপেক্ষার। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার স্বপ্নের দুয়ার খুলে গেলো। আজ বেলা ১২টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী মঞ্চের বেদিতে বাটন চেপে বহুল আকাঙ্খিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। এরই সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। বর্ণিল উৎসব শুরু হয়ে যায় পদ্মার দুই পাড়ে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। পদ্মা সেতুর ‘থিম সং’-এর মাধ্যমে সুধী সমাবেশ শুরু হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রদর্শন করা হয় প্রামাণ্যচিত্র। এরপর বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন-খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। টোলপ্লাজায় টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক, ম্যুরাল-১ উন্মোচন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন তিনি। এরপর উদ্বোধনী মঞ্চের বেদিতে বাটন চেপে বহুল আকাঙ্খিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি জয় বাংলা স্লোগান দেন। উদ্বোধনী বেদিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলেন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এরপর পুতুল ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আশপাশের ছবি তুলেন।
সেখান থেকে সড়ক পথে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ম্যুরাল চত্বর হতে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন।
সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করেন। দুপুর ১টায় কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।