প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২১
সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা নেয়ার জন্য স্মার্ট কার্ড পেতে যাচ্ছেন দেশের ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষক। একই সঙ্গে কৃষিতে সরকারের সার, বীজসহ যত সুবিধা রয়েছে, কৃষকদের স্মার্ট কার্ড দেখিয়ে সেসব সুবিধাও নিতে হবে।
কৃষকদের জন্য এ কার্ড তৈরি করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। চলতি বছর স্মার্ট কার্ড তৈরি শুরু হবে। আর এটি শেষ হবে ২০২৪ সালে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, কৃষকদের হাতে এখন একটি কাগুজে কার্ড রয়েছে। এ কার্ড ব্যবহার করতে গিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন কৃষকরা। সেজন্য কৃষকের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে তৈরি করা হবে ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষকের ডিজিটাল প্রোফাইল। দ্বিতীয় ধাপে বাকি কৃষকদের কার্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি তৈরি করা হবে তাদের প্রোফাইল।
গত বুধবার অনলাইনে কৃষকদের স্মার্ট কার্ড তৈরির প্রকল্প নিয়ে একটি আন্ত”মন্ত্রণালয় সভা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে সেই প্রকল্পের জন্য ৯৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রতি কার্ড তৈরিতে ৪৫ টাকা খরচ হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিব বলেন, কৃষকের স্বার্থে কৃষকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এটি অনেক আগেই হওয়া দরকার ছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, এ প্রকল্পের আওতায় চার হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিসিএস (কৃষি) কর্মকর্তা, ১ হাজার ৯২০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। এছাড়া প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৯০০ জন কৃষককে। এ জন্য খরচ হিসেবে সোয়া চার কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
স্মার্ট কার্ড বিতরণে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তির মুখে প্রশিক্ষণের অংশ সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া করোনার মধ্যে জাতীয় কর্মশালা করতে এক কোটি টাকা রাখার প্রস্তাবও কাটছাঁট করা হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক চারটি জিপ কেনার পাশাপাশি জিপের পেছনে জ্বালানি খরচের প্রস্তাবকেও যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার কথা জানিয়েছে কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব (কৃষি বিভাগ) মতিউর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মাধ্যমে কৃষি সেবা দেওয়া যায় কি না, আমরা প্রথমে সে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরর জানিয়েছে, এতে জটিলতা বাড়বে। কৃষককে সহজে সেবা দেওয়ার জন্য স্মার্ট কার্ড জরুরি।