২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১২:৪৬

শিরোনাম
কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন  আজ তারেক রহমানের জন্মদিন দুদকের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্লুইস গেটের কাজ দেয়ার পয়তারা কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হকের মতবিনিময় কয়রায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে র ্যালী ও আলােচনা সভা কয়রায় মিথ্যা মামলা দি‌য়ে হয়রা‌নি করার প্রতিবা‌দে সংবাদ স‌ম্মেলন কয়রায় অজগার সাপ উদ্ধার পরে সুন্দরবনে অবমুক্তি কয়রায় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তোপের মুখে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম কয়রায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

আওয়ামীলীগ হারিকেন ধরার সময় পাবে না; মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২

  • শেয়ার করুন

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘হারিকেন ধরার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার সময় পাবেন না। পেছনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিম মাতব্বরকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এই সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আর সময় দেওয়া চলবে না। এখন আমাদের দাবি একটাই। এক দফা, এক দাবি। আসুন, সেই এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে আসি।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি নিয়ে তারা (ভোলার স্বেচ্ছাসেবক দল) সেখানে সভা করছিল, সমাবেশ করছিল। সেখানে অতর্কিত পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ করে গুলি করে। আমার ভাই আমার সহকর্মী আবদুর রহমানকে হত্যা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে যেমন মানুষ গর্জে উঠেছিল আজকে আবদুল রহিমের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে আমাদের গর্জে উঠতে হবে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোথায় সফলতা আপনাদের? এই মেট্রোরেল দেখিয়ে বলেন, পদ্মা সেতু দেখিয়ে বলেন– এইখানে সব সফল্য। আর শতকরা ৪২ জন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকে। হাজারও মানুষ এখন দুবেলা খেতে পারে না।’

এই সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগে রাস্তা দখল করেন। আমরা ঘোষণা করছি, আগামী পরশু থেকে প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন বিক্ষোভ করবে। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করবো।’

সমাবেশে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘যারা বাড়াবাড়ি করছেন তাদের লিস্ট করা হচ্ছে। বিদেশিদের লাগবে না দেশের জনগণ আপনাদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আজ সরকারের রিজার্ভে টান পড়েছে। তাই ডিজেলসহ জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না। যদি টান না পড়ে তাহলে এগুলো আমদানি করতে পারছেন না কেন? কেন আমদানিকাররা ব্যাংকগুলোতে এলসি করতে পারছে না?’

সমাবেশে বিএনপির আরেক সিনিয়র নেতা আমির খসরু মোহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘রহিমের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে আনাত প্রতিজ্ঞা করতে হবে।’

বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও ছিলেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ অন্যান্যরা।

  • শেয়ার করুন