প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২
এক মাস ধরে দামের অস্থিরতা চলার পর আমদানি করার খবরে স্বস্তি মিলেছে চালের বাজারে। ফলে সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মাত্র ১দিনের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ৪-৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ভারত থেকে চাল আমদানি করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলে স্বাভাবিকতা ফিরবে চালের বাজারে। কম দামে কিনতে পারবেন ভোক্তারা।
এখন বোরো ধানের ভরা মৌসুম। অনুকুল আবহাওয়া থাকায় এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার। এই অবস্থায় ভোক্তাদের চালের দামে স্বস্তির থাকার কথা। কিন্তু চিত্র তার উল্টো।
মিলাররা কারসাজি করে ধান কিনে মজুদ করে চালের। এর ফলে তারা উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে যায়। আর এ কারণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে চালের দাম। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না দামের ঊর্ধ্বগতি।
গত ১ মাসে অন্তত কেজিতে ১০-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় সব ধরনের চাল। ফলে অস্থিরতা দেখা দেই চালের বাজারে। অতিষ্ট হয়ে উঠে ক্রেতারা। এই অবস্থায় সরকার মঙ্গলবার ভোক্তাদের সুখবর দিতে এবং চালের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই খবরে কমতে শুরু করেছে সব ধরণের চালের দাম।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শাহীনুর রেজা জানান, শুল্কমুক্ত ভাবে আমদানি করা হলে এর সুফল ভোক্তারা পাবে। কারণ চালের দাম অনেক কমে আসবে। অসৎ মিল মালিকরা ধানের মজুদ করে চাল উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এ কারণে বাজারে চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ফলে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ১০-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল।