প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার কয়রা থানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক যােগদান করার পর থেকে অপরাধ প্রবনতা কমে গেছে। যার ফলে পুলিশের প্রতি জনগনের আস্থা বাড়ছে। জানা গেছে, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে জিএম ইমদাদুল হক ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর যােগদান করার পর গত জুলাই-আগষ্ঠের বৈষম্যবিরােধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় কয়রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি ঘটে। তিনি যােগদান করার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাবাভীক রাখতে তার নেতৃত্ব পুলিশ বাহিনী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। থানা তথ্যনুযায়ী জানা গেছ, গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫১ জন আসামীর গ্রপ্তারী পরওয়ানা তামিল করা হয়েছে। বডি প্রেরন করা হয়েছে জিআর-৫ ও সিআর-৩৬ টি মােট ৪১ টি। ১৫ টা মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক হয়েছে ৩ জন, মাদক মামলা হয়েছে ৬ টি, আসামী আটক হয়েছে ৭ জন, গাজা জব্দ করা হয়েছে ৯৩৫ গ্রাম, ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে ৬০ পিচ। নভেম্বর মাসে মামলা হয়েছে ১৫ টি। বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রার ছাত্র প্রতিনিধি গােলাম রব্বানী বলেন, মানুষ বিপদে পড়ে থানা অফিসার ইনচার্জের কাছে গেলে তিনি মনােযােগ সহকারে তাদের কথা শােনেন এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর ভেঙ্গে পড়া আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ছিলাে কঠিন একটা কাজ। তিনি তার মেধা ও যােগ্যতার মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা সহ সার্বিক বিষয়ে দক্ষতার সাথে মােকাবলা করে আইনশৃঙ্খলা স্বাবাভিক পর্যায়ে নিয়ে আসায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসছে। বৈষম্যবিরাধী ছাত্র জনতার আদালনের অন্যতম নেতা শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন, বিগত ১৬ বছর পুলিশের ব্যাপারে মানুষের ভিন্ন ধারনা ছিলাে। বর্তমান সেই ধারনার অনকটা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান পুলিশ সবার মন মানষিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলে পুলিশর প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।
কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শরিফুল আলম বলেন, বর্তমান ওসি যােগদান করার পর মানুষ সুবিচার পাচ্ছে। সকলে ন্যায় বিচার ও সমান সুযােগ-সুবিধা ভােগ করছে। এই পরিবর্তন হয়েছে ৫ আগস্টের পর তিনি যােগদান করার পর থেকে। সেজন্য তিনি মানুষের কাছে আস্তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন, আমি যােগদান করার পর থেকে বর্তমান ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। বিতর্কিত ধানের জমিতে ধান-কাটাকাটির ব্যাপারে কােন অভিযােগ হলে বাদি-বিবাদীর সম্মিতে আইনগত ভাবে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। জনগনের সেবাই পুলিশের ধর্ম। পুলিশ সুপারের নির্দশে শান্তিপূর্ণ ভাবে মানুষের সেবা অব্যহত রাখছি। উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য আমার দরজা সব সময় খােলা। কােন মানুষ বিপদে পড়লে বা হয়রানীর স্বীকার হলে সরাসরি আমাকে জানাবেন আমি সমস্যার সমাধানের চেষ্ঠা করবাে। পুলিশের ওপর মানুষর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আনাই আমার লক্ষ। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাবাভিক রাখতে সকলের সহযােগিতা কামনা করেছেন।