১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৮:৪০

কয়রায় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তোপের মুখে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধি ঃ- খুলনার কয়রায় জাতীয় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তাপের মুখে পড়লেন বৈষম্যবিরােধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারী কয়রা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম । ১ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলােচনা সভায় এই ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, কয়রা উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়ােজনে “দক্ষ যুব গড়ব দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরে র‍্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলােচনা সভায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস। প্রধান অতিথির ব্যক্তিগত কাজ থাকায় তিনি বক্তৃতা করে চল যান। অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বাগত বক্তৃতা করার পর শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য মাইক্রাফােন ধরলে বৈষম্য বিরাধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা প্রতিনিধি সাংবাদিক গােলাম রাব্বানী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে থামতে বলেন। এবং তিনি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি গত ৪ আগষ্ট আপনার নিজস্ব ফেসবুক টাইমলাইনে বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের বিরােধিতা করে লিখেছেন ” জনে জনে খবর দে এক দফার কবর দে” “রাতের মধ্যেই সম্বয়ন্বয়করা ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে, ওদের যেতে দিবেন না। অনেক হিসাব বাকি আছে।” এ সমস্ত পােস্ট দেন। আপনি সরাসরি ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরােধীতা করেছেন। ছাত্র জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করেছেন। আপনি শপথ বাক্য পড়াতে পারেবন না বলে আপত্তি জানান। আলােচনা সভার মঞ্চ থাকা কয়রা উপজলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শরিফুল আলম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্তিত ছাত্র-জনতার সমার্থন নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কয়রা উপজলা মুক্তিযােদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযােদ্ধা জি এম মাওলা বকসের নাম প্রস্তাব করেন। এবং সকলের সম্মতিক্রমে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করান। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বীর মুক্তিযােদ্ধা জি এম মাওলা বকস বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের দােসরা এখন ও বিভিন্ন দপ্তরে সক্রিয় রয়েছে। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিগত সময় ছাত্র জনতার আন্দোলনকে বিভিন্ন ভাবে বিরােধীতা করেছেন। তাই বৈষম্যবিরােধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি গােলাম রববানী এসব কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রতিবাদ করেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করাতে বাঁধা দেন। পরবর্তীতে সভায় উপস্তিত লােকজনের সম্মতিক্রমে আমি শপথ বাক্য পাঠ করেছিলাম। এ বিষয় জানতে চাইলে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বৈষম্যবিরােধী ছাত্র আন্দোননের ছাত্র প্রতিনিধি গােলাম রববানী আমাকে শপথ বাক্য পাঠ করতে বাঁধা দিলে বীরমুক্তিযাদ্ধা জিএম মাওলা বক্স শপথ বাক্য পাঠ করেন। তবে ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরাধীতা করে ফেসবুক পােস্ট ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সম্মানী আত্মসাতের ব্যাপারে কােন কথা বলতে রাজি হয়নি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন , অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বক্তব্য শেষে চলে আসি‌। বিষয়টি আমার জানা নেই।

  • শেয়ার করুন