২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ৯:৩৩

শিরোনাম
কয়রায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা  কয়রায় কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় ক্ষতি পুরনের দাবিতে জমির মালিকদের সংবাদ সম্মেলন বিএনপিতে কোন আওয়ামীলীগের দোসরদের স্থান দেওয়া হবে না- মনিরুজ্জামান মন্টু ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে : আমিরুল ইসলাম কাগজী  অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে বিএনপি বদ্ধপরিকর, রূপসায় বিএনপি নেতা হেলাল সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে ধরা ১ হাজার কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ কয়রায় বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  কয়রায় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা ও স্মরন সভা কয়রায় ৩ মন ১০ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালালো শিকারীরা

কয়রার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষের অভাবে গাছ তলায় পাঠদান

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা প্রতিনিধিঃ উনিশের দশকে শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান ছিল স্বাভাবিক একটি বিষয়। এমনকি ওই গাছতলাকেই তাদের শ্রেণিকক্ষ হিসেবে মানা হত। তবে এই উন্নয়নের যুগে শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান খুবই বেমানান।
সম্প্রতি এমনই এক দৃশ্য দেখা গেছে খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের এস ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অব্যাহত রেখে ২০২৩/২৪ সালে কয়রা উপজেলার মধ্যে শেষ্ঠ স্কুলের গৌরব অর্জন করে। বিদ্যালয়ে ৫-৭টি কক্ষ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২ টি কক্ষ। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে আঙিনায় নিচু টিনের নড়বড়ে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে অসহ্য গরম ও বৃষ্টিতে ভিজে যায় বই খাতা এভাবেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

শিক্ষার্থী মাইশা আক্তার বলে, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে গাছতলায় বসে পাঠদান করতে হয়। খুলনা কয়রা মেইন সড়কের পাশে স্কুলটি হওয়ায় শব্দের কারণে আমরা পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছি না এই কারনে আমাদের ফলাফল খারাপ হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১২৭ জন বৃত্তি প্রাপ্ত হয়। এমনি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অভিভাবক মনিরুল ইসলাম বলেন কয়রা উপজেলার মধ্যে সর্বদিক থেকে শ্রেষ্ঠ এমনকি স্কুলে উপস্থিতি প্রায় ১০০% হয়। কী কারণে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে না তা আমার জানা নেই। তবে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন স্কুলের জন্য শিগগিরই একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরে আনা হোক।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিষয়টি আমি জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।

  • শেয়ার করুন