২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১২:৩২

শিরোনাম
কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন  আজ তারেক রহমানের জন্মদিন দুদকের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্লুইস গেটের কাজ দেয়ার পয়তারা কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হকের মতবিনিময় কয়রায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে র ্যালী ও আলােচনা সভা কয়রায় মিথ্যা মামলা দি‌য়ে হয়রা‌নি করার প্রতিবা‌দে সংবাদ স‌ম্মেলন কয়রায় অজগার সাপ উদ্ধার পরে সুন্দরবনে অবমুক্তি কয়রায় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তোপের মুখে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম কয়রায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই কিছু নেতা মনে করেন গালি দেয়া হয়েছে; জিএম কাদের

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২২

  • শেয়ার করুন

 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই কিছু রাজনৈতিক নেতা মনে করেন তাকে গালি দেয়া হয়েছে। আসলে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। দেশের মানুষ আর যেনতেন নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপিদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় শতকরা ৮০ ভাগ রাজনৈতিক দল ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বারবার সভা ডেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে ইভিএম এর গুনাগুণ বর্ণনা করছে। নির্বাচন কমিশনের বোঝা উচিৎ দেশের মানুষ কোনো কারচুপির নির্বাচন গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ইভিএম বর্জন করছে, তখন নির্বাচন কমিশন ইভিএম এর গুনগান শুরু করেছে। এতে জনমনে এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এখনো দেশের সকল ভোটার প্রার্থীর নাম পড়ে ভোট দিতে পারে না, মার্কা দেখে নির্বাচনে ভোট দেয়। এমন বাস্তবতায় ইভিএম-এ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা দূরভিসন্ধি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করার পর দেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। তারা দেশের জনগণের স্বার্থের রাজনীতির বিপরীতে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছে। দল দুটি উৎসবের নির্বাচনকে সহিংস করে তুলেছে। তাই এখন নির্বাচন যেন যুদ্ধ। যে দল জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হবে, তাদের নিশ্চিহ্ন হবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।

পরাজিত দলের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখা দুরুহ হয়ে পড়বে। এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না। এমন বাস্তবতা থেকে দেশ ও দেশের রাজনীতি নিরাপদ করতেই জাতীয় পার্টির সংগ্রাম।
সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা এমপি।

  • শেয়ার করুন