প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪
আলু সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা!
সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আলু। বেশ কয়েক বছর আগে দেশে চালের সংকট তৈরি হলে অনেক রাজনীতিবিদ ভাতের পরিবর্তে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে গত বছর বাজারে আলুর যে উচ্চমূল্য ছিল তা আগে কখনো দেখা যায়নি। সব সময় উৎপাদন উদ্বৃত্ত থাকা সেই আলুই এখন ভোক্তার দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। রেকর্ডমূল্যে কিনতে হচ্ছে চালের পর সবচেয়ে বেশি ভোগের এ খাদ্যপণ্যটি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আলুর ঘাটতি না থাকলেও সুযোগ নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ও কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ীরা। তাদের সিন্ডিকেট চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
গত বছরের অক্টোবরে রেকর্ড ৭০ টাকা কেজিতে আলু কিনতে হয়েছিল ভোক্তাকে। বর্তমানে ভরা মৌসুমে প্রতি কেজি আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বর্তমান দাম বিবেচনায় মৌসুমের পর আগামী কয়েক মাসে আলুর দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৭৫-৮০ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রায় সাড়ে চার লাখ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ১১ লাখ টন। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ টন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে, দেশে উৎপাদিত আলুর প্রায় ২৫ শতাংশ বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যায়। উৎপাদন-পরবর্তী ক্ষতি বিবেচনায় নিলে আলুর চাহিদা ও সরবরাহ প্রায় কাছাকাছি।