প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্য , মিষ্টি এবং চিকিৎসার উপাদান হিসাবে মধুর ব্যবহার করে আসছে। আমাদের শরীরের সুস্থতায় মধুর উপকারিতা অতুলনীয়। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে মধুকে মহৌষধ বলা হয়।
নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে যেসব উপকার পাওয়া যায়। তা হলো-
১। মধু গলা ব্যথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগে বিশেষ উপকারি।
২। মধু হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
৩। মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪। মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে।
৫। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৬। মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক।
৭। যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক।
৮। গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে।
৯। আন্ত্রিক রোগে উপকারী। মধুকে এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়।
১০। আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী।
১১। দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘায়ের জন্য খুবই উপকারী।
১২। শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।
১৩। ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে।
১৪। মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
১৫। মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১৬। মধু ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে।
১৭। মধু রক্ত পরিশোধন করে।
১৮। মধু শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।
১৯। মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
২০। শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে।
২১। শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে।