প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২১
পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা, গলদা উৎপাদন ও রপ্তানী খরচ অনেক বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে থাইল্যান্ড, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম অনেক আগেই নতুন প্রজাতির চিংড়ি ‘ভেনামি’ উৎপাদন শুরু করে৷
ভেনামি চিংড়ির উৎপাদন খরচ তুলনামুলক অনেক কম এবং স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদন হয়৷ দামে বাগদা চিংড়ি থেকে অনেক সস্তা। ফলে বাংলাদেশ অন্য রপ্তানিকারক দেশ থেকে পিছিয়ে পড়তে থাকে৷ দেশে ১১৫ টি হিমায়িত খাদ্য প্রক্রিয়াতজাত কারখানা ধিরে ধিরে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মাত্র ১৫ টি কারখানা কোনক্রমে টিকে আছে৷
হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারকদের অনেক প্রচেষ্টা পর অবশেষে গতবছর মৎস্য অধিদপ্তর ‘ভেনামি’ চিংড়ি দেশে উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রজেক্ট গ্রহন করে এবং বেসরকারী ভাবে বাস্তবায়নের অনুমতি দেয়। শুশিলন এনজিও’র অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে মৎস্য গবেষনা ইনিস্টিউটের সহায়তায় খুলনার পাইকগাছায় নোনা পানির মৎস গবেষণা কেন্দ্রে পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে৷ করোনার কারনে দেরি হলেও ১৮ জুলাই প্রকল্পটি সফলতা পায়৷ সেমি ইন্টেন্সিভ পদ্ধতিতে মাত্র ৯০ দিনের মাথায় এক হেক্টর আয়তনের তিনটি পুকুর থেকে ৯৫০০ কেজি চিংড়ি আহরিত হয়৷ বাগদা চিংড়ি যেখানে অনেক ব্যায়বহুল এবং ১৫০ দিনে হেক্টর প্রতি উৎপাদিত হয় মাত্র ৬৫০ কেজি৷ সেখানে অনেক কম ব্যায়ে অনেক কম সময়ে আশাতিত এই উৎপাদনে পাইলট প্রকল্পের সাথে সংস্লিস্টরা ছিল খুবই আনন্দিত। তারা এখন আশাবাদি এ দেশে ‘ভেনামি’ চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। অচিরেই বাংলাদেশ চিংড়ি রপ্তানিতে তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।