প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১
রসুন তেলের উপকার সম্পর্কে কমবেশী সবাই জানে। জার্নাল অব নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, রসুনে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান মালাস্যাজিয়া এবং ডার্মাটোফাইটিজ প্রতিকারে সাহায্য করে। মাছের তেল ও রসুনের তেল একসঙ্গে কোলেস্টেরল, এলডিএল-সি এবং ট্রাইয়াসেলগ্লিসেরল যৌগের মাত্রা কমায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
💢 ত্বকের যত্নে রসুনের তেল:
ত্বকের আক্রান্ত স্থানে এক সপ্তাহ রসুনের তেল লাগলে উপকার পাওয়া যায়।সেলেনিয়াম, অ্যালিসিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি-সিক্স, কপার, জিংক ইত্যাদি উপাদানে ভরপুর রসুনের তেল। এসব উপাদান ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
💢 চুলের যত্নে রসুনের তেল:
মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে ও আগাফাটা কমিয়ে চুলের গোড়া শক্ত করতে রসুনের তেলের তুলনা হয় না। এই তেলে থাকা সালফার, ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-সি মাথার ত্বক ও চুলের ক্ষতি পূরণে দারুণ উপকার করে।
💢 দাঁতের যত্নে রসুনের তেল:
এই তেলে তুলার বল ডুবিয়ে দাঁতের ব্যথার অংশে লাগলে উপকার পাওয়া যায়। এর অ্যালিসিন দাঁত ব্যথা ও সংক্রমণ কমায়। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ কমিয়ে দাঁতের ক্ষয় দূর করে।
💢 হ্রদযন্ত্র ও ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুনের তেল:
রসুনের পলিসালফাইডস হ্রদযন্ত্র সুস্থ রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। ক্যান্সার প্রতিরোধেও রসুনের অ্যান্টিক্যান্সার উপাদান কার্যকরী। নিয়মিত ম্যাসাজের মাধ্যমে এটি স্তন ক্যান্সারের কোষ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
💢 ঠান্ডায় রসুনের তেলের ব্যবহার :
এছাড়াও ঠান্ডা থেকেও রসুনের কোষ শরীরকে রক্ষা করে। এজন্য সরিষার তেলে রসুন গরম করে গোসলের আগে লাগালে ত্বক মসৃণ থাকে। এটা শরীরের যে আস্তর তৈরি করবে তা ঠান্ডা রুখতেও সহাজজ করে
💥রসুনের তেল তৈরি পদ্ধতি :
রসুনের তেল তৈরি করতে প্রথমে কয়েক কোয়া রসুন ছেঁচে নিতে হবে। এবার তাতে অলিভ ওয়েল(জলপাই তেল) দিয়ে সসপ্যানে ২ থেকে ৩ মিনিট গরম করলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। এটি বায়ুরোধী কাচেঁর পাত্রে রেখে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যাবে।