প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রায় ৪ দিনের স্বেচ্ছাশ্রমে উত্তর ও দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়ন এর সীমান্তবর্তী বীনাপানি নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ নির্মান করলেন এলাকাবাসী। জানা গেছে,গত ২ আগস্ট নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার উত্তর ও দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের সীমানাবর্তী বীনাপানি নামক স্থানে ১৫০ ফুটের মত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় ১০ টি গ্রাম। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ আটকানোর জন্য কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতে দুই ইউনিয়নের শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেন। বিরতিহীন ভাবে চলে তাদের কাজ। শেষ পর্যন্ত ৪ দিন কাজ করে ৬ আগস্ট দুপুরে বাঁধ রক্ষা করেই তারা বাড়িতে ফিরেছেন। বাঁশ, বল্লি, মাটি ও বস্তাদিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা হয়েছে।
উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের সময় ভেঙ্গে যাওয়া গাতীর ঘেরী বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় ওই পানির চাপে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারনে দীর্ঘদিন ওই এলাকার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম সামছুর রহমান বলেন, গাতীর ঘেরীর ভাঙ্গনের কারনে ২ ইউনিয়নের সীমানাবর্তী বীনা পানি নামক স্থানে ১৫০ ফুটের মত বাঁধ ভেঙ্গে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানো সম্ভব হয়েছে। সাতক্ষীরা পানিউন্নয়ন বোর্ড-২এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন,বীনাপানি নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানোর জন্য বস্তাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের সময় উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতীর ঘেরীর ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানো সম্ভব না হওয়ায় বীনা পানির বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ জন্য তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে দায়ী করেন। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নির্মান করা হয়েছে।