প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১
প্রাচীন গ্রিক বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন, আমাদের চোখ থেকে আলো নি:সৃত হয়ে বস্তুতে নিপাতিত হবার কারনেই আমরা সেই বস্তুকে দেখতে পারি।কিন্ত দশম শতাব্দীতে মুসলিম গণিতজ্ঞ, পদার্থবিদ ও বিজ্ঞানী ইবনে হায়সাম প্রমাণ করেন গ্রিকদের সেই বিশ্বাস ভুল ছিল । বরং তিনি প্রমাণ করেন যে- বস্তুতে আলো নিপাতিত হয়ে তা আমাদের চোখে ধরা পড়ার কারণেই আমরা বস্তুকে দেখতে পাই । ইবনে হায়সাম একটা অন্ধকার কুটিরের বদ্ধ জানালায় ছোট্ট একটা ছিদ্র ভেদ করে তীব্র আলো ঘরের মধ্যে পড়তে দেখেন । তিনি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করেন যে, এই ছিদ্রটা যত ছোট হবে আলোর তীব্রতাও তত বেশি!
এই অবজারভেশনের উপরে ভিত্তি করেই তিনি আরো গবেষণা পরিচালনা করেন। ইবনে হায়সাম কাঠের ছোট্ট এমন একটা বাক্স তৈরি করেন, যাতে অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটা ছিদ্রও রাখেন, যে ছিদ্র দিয়ে বস্তুর উপরে নিপতিত আলো প্রতিফলিত হয়ে তার প্রতিবিম্ব এ কাঠের ছোট্ট প্রকোষ্ঠের ভেতরে পড়ে! ইবনে হায়সাম তার উদ্ভাবিত ‘কাঠের এই যন্ত্রের নাম রাখেন ‘কামারা’ । আরবিতে কামারা’ শব্দের মানে হলো ‘অন্ধকার প্রকোষ্ঠ’ আমরা বাংলায় যাকে বলি “কামরা”। এভাবেই ১০ম শতাব্দীতে ইবনে হায়সাম কর্তৃক উত্তাবিত সেই ‘কামারা’-ই আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের “ক্যামেরা”! মুসলমান বিজ্ঞানীরাই এর আবিষ্কারক বা উদ্ভাবক!
তথ্যসুত্র: The Independent এর ১১ মার্চ ২০০৬ সংখ্যায় Paul Vallely এর লেখা ‘How Islamic inventiors changed the world’.
বই : অন্তর মম বিকশিত করো
লেখক: জিয়াউর রহমান