৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১২:০৪

শিরোনাম
পাইকগাছা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাথে বিএনপির মতবিনিময় মিথ্যা মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ায় পাইকগাছায় বিএনপির আনন্দ মিছিল কয়রায় শহীদদের স্মরনে দোয়া ও আলোচনা সভা  কয়রায় বৈষম্যবিরােধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কয়রায় সবক ও দােয়া অনুষ্ঠানে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়ােগ করতে হবে কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন  আজ তারেক রহমানের জন্মদিন দুদকের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্লুইস গেটের কাজ দেয়ার পয়তারা কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হকের মতবিনিময়

আমরা পানি চাই, সিমান্ত হত্যা বন্ধ চাই; মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা শুধুই দিয়েই যাচ্ছেন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা পানি চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ চাই। তা না করে শেখ হাসিনা শুধুই দিয়েই যাচ্ছেন। আপনি উজার করে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কী পেয়েছে? বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে শুধুই ঘৃণা ।

 আজ শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন এই দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র মানেই খালেদা জিয়া। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। দেশনেত্রীকে সাজানো মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তারের আগে তিনি এক ভাষণে বলেছিলেন, আমি জানি আমাকে আপনাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা বলেছিলেন।

তিনি বলেন, অর্থ, ব্যাংক লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান, পুলিশের সাবেক প্রধান হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। কিন্তু যারা রাঘব বোয়াল, যারা চুরির হোতা তাদের ধরা হচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনেই তাদের দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আমরা নির্বাচন করায় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থী না পেয়ে নিজেদের মধ্যে ডামি নির্বাচন করেছে।

আমাদের রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রীকে মুক্তি দেন, না হলে যেকোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকুন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জয়নাল আবদিন ফারুক, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার,  অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল করিব খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, সালাহউদ্দীন আহমদ, রফিকুল আলম মজনু, আফরোজা আব্বাস, আমিনুল হক, সাদেক খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

এর আগপ দুপুর ১২টার পর থেকেই সমাবেশস্থলে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পদচারণায় নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে। পরে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। নেতা-কর্মীদের মিছিল ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা নয়াপল্টন এলাকা। তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেন। এদিকে সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নয়াপল্টন এলাকায়।

  • শেয়ার করুন