১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ১:০০

শিরোনাম
খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলামের নামে মিথ্যা অপপ্রচার, থানায় জিডি কয়রা সেতুর টোল মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কয়রার পর্যটন কেন্দ্রটি এই এলাকার মানুষের ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটাবে- জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম  কয়রায় মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে অনিতা বৈদ্যের সংবাদ সম্মেলন তারেক রহমানকে নিয়ে অপ-প্রচারের প্রতিবাদে কয়রায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ কয়রায় খাল অবমুক্তকরনের দাবীতে মানববন্ধন কয়রায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা  কয়রায় স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা কয়রায় বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটে ভয়াবহ ধ্বস আতঙ্কে এলাকাবাসী

কঠোর নিরাপত্তায় শেষ হলো সুন্দরবনের পুন্যস্নান

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা প্রতিনিধিঃ  ১৭ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর সুন্দরবনের সাগর দ্বীপে আলোর কোলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুন্যস্নান ও রাস পুজা। হাজার হাজার পুন্যার্থীদের আগমনে রাস পুজা হয়ে উঠে উৎসবমুখর। তবে এ বছর সনাতন ধর্মলম্বী
লোক ছাড়া রাস পুজায় কেউ প্রবেশ করতে পারনি।

কোন অপ্রীতকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সমপন্ন হয়েছে রাস পুজা। রাস পুজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের উদ্যোগে বনজ
সম্পদ রক্ষায় চলতি বছর নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। জানা যায়, প্রতি বছর কার্ত্তিক অগ্রহায়ণের শুক্লাপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের
মানুষ পার্থিব জীবনের কামনা বাসনা পূরণের লক্ষ্যে সুন্দরবনের শেষ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের তীরে দূবলার দ্বীপে এক নিবীড় পরিবেশ হাজির হয়। সেখানে সূর্যোদয়ের সাথে সমুদ্র স্নান করে পবিত্র
হয়ে ভগবানের কাছে আরতী জানায়। অসংখ্য হিন্দু নর-নারী গঙ্গার মত তীর্থস্থান মনে করে এই রাস পুজায় উপস্থিত হন।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আহমেদ বলেন, রাস পুজায় নির্বিঘ্নে যাতে তীর্থ যাত্রীরা যেতে পারে তার জন্য সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়। যে কারনে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কোন পুন্যার্থী হয়রানী ছাড়াই রাস পুজা শেষে নিবিঘ্নে বাড়ি ফিরেছে। সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ বলেন, এ বছর সাগরকুলে রাস পুজায় পুন্যার্থীদের ১৭ নভেম্বরের আগে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করা হয়। তাছাড়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সিধান্ত গ্রহন করা হয় যে, ১৫ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সার্বক্ষনিক টহল কার্যক্রম চালাবে বন বিভাগ। ১৪ নভেম্বরের পর কোন ব্যাক্তি সুন্দরবনে প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইতগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নির্ধারিত সময় ছাড়া কোন লোক সুন্দরবন অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না। পুজার শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুন্দরবনে শব্দ দুষণরোধে রাশ মেলাস্থল ও যাতয়াত রুটে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করা হয়।

  • শেয়ার করুন