প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে আনুপাতিক হারে। যে দল যত পারসেন্ট ভােট পাবে সেই দল সংসদ তত পারসেন্ট প্রতিনিধিত্ব করবে। এতে করে এক পারসেন্ট ভােট যদি কােন দল পায় সেই দলের যােগ্যলােক থাকলে তারাও সংসদে গিয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। কােন কােন নির্দিষ্ট দলের হাতে দেশ এবং ভােট এই দুটি জিম্মি হওয়ার আর আশঙ্কা থাকবে না। এই জন্য আমরা চাই আনুপাতিক হারে সেই নির্বাচনটা হােক।
কয়রার প্রধান সমস্যা বঁড়িবাধ সংকট নিরসন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারক উদ্যােগ নেওয়ার আহবান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আপনারা অন্তত শুরু করুন। জামায়াত দেশ সেবার সুযােগ পেলে আর কােন দাবি করতে হবে না, বরং জনগনের সংকটগুলাে খুঁজে নিয়ে সমাধানের চষ্টা করব। এদেশের যুবকরা বৈষম্যমুক্ত সমাজের স্বপ দেখেছিল তেমন একটি সমাজ গড়তে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযােগিতা কামনা করেন। বাংলাদশর ২০১৮ সালর নির্বাচন ছিল নিশি রাতর নির্বাচন। ২০২৪ সালে নির্বাচন ছিল ড্যামি নির্বাচন । বিচার বিভাগকে ধংস করা হয়েছে, নির্বাচনক ধংস করলাে, তাছাড়া দুদকক ধংস করার পাশাপাশি মুগুড় আলা, আর গুন্ডা আলাদের নিয়ােগ দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। দেশে লেখাপড়ার কােন পরিবেশ ছিলো না। এ সমস্ত কারণে ছাত্রজনতা ফুঁসে উঠেছিলাে। বাংলাদেশে আর কখনও চাঁদাবাজ আর দখলবাজদের অস্তিত্ব রাখা হবে না। ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। আমাদের ছেলেরা তিন তিনবার ভােট দিতে পারিনি। তিনি বহস্পতিবার ( ২৬ ডিসম্বর) দুপুর ২ টায় কয়রার কপােতাক্ষ কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ২৬ লক্ষ কােটি টাকা চুরি করে বিদেশে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনা সহ তার বােন রেহানা। দেলােয়ার হুসাইন সাঈদী ছিল দল মতের ঊর্ধে বাংলাদেশের একজন প্রাণ পুরুষ। তাক পরিকল্পতিভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের রােল মডেল গড়ে তােলার কথা বলা হলেও রােল মডেল খুঁজে পাওয়া যায় না। সৌভাগ্যক্রমে ইংল্যান্ডের মন্ত্রী হয়ে টিউলিপ ছিদ্দিকী রুপপুর পারমানবিক কেদ্র থেকে ৫৭ হাজার কােটি টাকা চুরি করেছে। ব্যাংকগুলাে সব ফাঁকা, ফিন্যান্স সেক্টর ধ্বংস বীমা কোম্পানিগুলো মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে গ্লোবাল। বিগত ফ্যাস্টিট সরকার জাতির দুশমন। শক্র, চোর এরা বাংলাদেশ থেকে সব চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এদেরকে বিচার করতে হবে এই বাংলার মাটিতে। কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও খুলনা জেলা সহকারি সেক্রেটারী এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন,জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম সরোয়ার, অধ্যক্ষ কবিরুল ইসলাম, মুন্সি মিজানুর রহমান, মুন্সি মইনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাউসুল আযম হাদী, কৃষ্ণ নন্দী, কয়রার জামায়াত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা সুজাউদ্দিন প্রমুখ।