১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,ভোর ৫:৩১

শিরোনাম
কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সুন্দরবনে অভিযান ১৮ বস্তা অবৈধ শুটকি চিংড়ি জব্দ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাঁধ মেরামত ও উঁচু করণের দাবিতে মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা বিএনপি নেতা মোমরেজুল ইসলামকে নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলামের নামে মিথ্যা অপপ্রচার, থানায় জিডি কয়রা সেতুর টোল মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কয়রার পর্যটন কেন্দ্রটি এই এলাকার মানুষের ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটাবে- জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম  কয়রায় মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে অনিতা বৈদ্যের সংবাদ সম্মেলন তারেক রহমানকে নিয়ে অপ-প্রচারের প্রতিবাদে কয়রায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ স্টার সি-ফুডের এমডি সালাউদ্দিনের নামে মামলা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাতের অভিযোগে স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা।
দুদকের উপপরিচালক মোঃ শাওন মিয়ার করা এই মামলা ১৬ আগষ্ট (সোমবার) খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা থেকে প্লেজ ১৭ কোটি এবং হাইপো দেড় কোটি টাকাসহ মোট ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করে। এই ঋণের বিপরীতে জামানত ছিল গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আব্দুর রহিম বাবু গোডাউন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মোঃ সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট সময়কালে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়িমাছ পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মোঃ আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপন মাছ বিক্রির প্রমাণ পান। তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এই ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএর নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে পুলিশ পক্ষপাতমূলক ভাবে এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। দুদকের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে মোঃ আব্দুর রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএনেতা হওয়ায় তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় ডিজিএম সিবিএ নেতাদের চাপে কোনো ব্যবস্থা নিতে এবং তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারেননি।

উল্লেখ্য, দুদক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মোঃ আব্দুর রহিম বাবু শ্রমিকলীগ নেতা ও সোনালি ব্যাংক সিবিএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্তা নেওয়া যায়নি বলে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অভিযোগ। অবসরে গেলেও নতুন নির্বাচন না হওয়ায় তিনিই এখনো সিবিএ নেতা।

পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় স্টার সি ফুড ইন্ডস্ট্রিজের এমডি মোঃ সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও ব্যাংক স্টাফ আব্দুর রহিম বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করে।
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার বর্তমান ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম এই মামলার কথা স্বীকার করে জানান, গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • শেয়ার করুন