১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ৭:৫৫

কয়রায় বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটে ভয়াবহ ধ্বস আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫

  • শেয়ার করুন
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নের সুতি বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের শাকবাড়িয়া খালে  নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্লুইসগেটে দু পাশের মাটি সরে গিয়ে  ভয়াবহ ধ্বস দেখা দিয়েছে। গত সোমবার সকালে ভাটার টানে  ধ্বসের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ সামান্য জোয়ারেই ভেঙ্গে লবন পানিতে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ জনপদ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলায় পানি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শাকবড়িয়া খালের  ওপর নির্মিত সুতি বাজারের এই বড় স্লুইস গেটটি। এই গেটে ধ্বস দেখা দেওয়ায়, কৃষিকাজে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঠবাড়ি গ্রামের অধিবাসি লুৎফর মোল্যা জানান, স্লুইজ গেটটি  নির্মানের পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই এমন ফাঁটল দেখা দেয়। গেটের  দুইপাশে ভালো ভাবে কাজ না করায়  স্লুইসগেটটির নিচের অংশে ফাঁকা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে হঠাৎ একপাশ ধ্বসে পড়েছে।  এর আগে কয়েকবার এমন ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও স্থায়ী ভাবে কোন সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি কর্তুপক্ষ। সুইসগেটটি  ধ্বসে গেলে জোয়ারের পানিতে কয়রা,মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, বাগালী ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হবে,এবং কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুইস গেটের ধ্বসে যাওয়া স্থানটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছে।৷ মহারাজপুর ইউনিয়নের  ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাইদ মোল্যা বলেন, সুতিবাজার সংলগ্ন স্লুইসগেটের পাশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। যেটা দ্রুত মেরামত করা না গেলে বড় ক্ষতির করণ হয়ে দাড়াবে।  মেরামত না করা হলে এই স্থান দিয়ে ভেঙে গেলে মহারাজপুর ও পার্শবর্তী কয়রার  কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। কয়রা সদর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত)  চেয়ারম্যান এস এম লুৎফর রহমান বলেন , স্লুইচগেটটি নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুম আসলে ফাঁটল ও ধ্বসের দেখা দেয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তাৎক্ষনিক  নামমাত্র কিছু কাজ করা হয়। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষের। দ্রুত মেরামত না করা হলে স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন সম্ভাব হবেনা।  বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে । পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন,  অতি বৃষ্টির কারণে মাঝে মাঝে  স্লুইসগেটের পাশ দিয়ে ঘোগার সৃষ্টি হয়ে মাটি সরে যায়। বিষয়টি জেনেছি  জরুরী ভিত্তিতে ধ্বসে যাওয়া স্থান মেরামত করা হবে।
  • শেয়ার করুন