৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৯:৪০

কয়রায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ধানবীজ, বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

কয়রা প্রতিনিধি ঃ- আমন মৌসুমে বেশিরভাগ কৃষকের ভরসা বিএডিসি’র ধানবীজ। গুণগত মান ভালো হওয়ায় এ বীজের ওপরেই আস্থা তাদের। কিন্তু সংকটের কথা বলে বন্যা কবলিত অবহেলিত বার বার ভাগ্যহত এসব গরিব কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বীজ ব্যবসায়ীরা।

কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসি’র ধানবীজের সরকারি মূল্য বস্তাপ্রতি (১০ কেজি) ৩৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। কিন্তু বাজারে কিনতে গেলে তাদের দিতে হচ্ছে ৫০০-৭৫০ টাকা।
একমাত্র জীবিকা নির্বাহ কৃষিকাজ। তাই চাষের জন্য বীজও কিনতেই হবে। ফলে বস্তাপ্রতি ২০০-৩৫০ টাকা বেশি দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। দাম বেশি হওয়ায় বিএডিসি’র মোড়ক পাল্টে ভেতরে অন্য বীজ দিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ করছেন কৃষকরা।

খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ২নং গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। বিএডিসি’র নির্ধারিত দরে বীজ কিনতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু দোকানদার দাম হাঁকান ৫০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েন তিনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়েই বীজ কিনেছেন তিনি। শফিকুল বলেন, ‘আমরা সাধারণ কৃষক। সরকারের কাছে ন্যায্যমূল্যে সার-বীজ কিনতে ও আমাদের ফসল বিক্রি করতে চাই’।

কৃষক রবিন্দনাথ বলেন, ‘বাজারে বিএডিসি’র বীজের সংকটের কথা বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি টাকা নিচ্ছেন। আর এ বীজের ওপরে আমাদের আস্থা থাকায় বেশি দামের পাশাপাশি ভেজাল বীজও দিচ্ছেন তারা। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে’।
কৃষক মাছুম প্রামাণিক অভিযোগ করেন, গত দু’দিন আগেও যে বীজের দাম একটু কম ছিলো ৪০০-৪৫০ টাকা, সেই বীজ এখন ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দিনে দিনে লাগামহীনভাবে দাম বাড়াচ্ছে উপজেলার বীজ ব্যবসায়ীরা।

বীজ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বেশি দামে বীজ বিক্রয় অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বীজের সংকট আছে কিন্তু বিএডিসি কতৃক নির্ধারিত মূল্যে বীজ বিক্রয় করা হচ্ছে।

সব ডিলার এর বীজ বিরুদ্ধে বীজের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও বেশিরভাগ ডিলারই বলছেন, সরকারি দামে বীজ বিক্রয় করা হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কৃষি অফিস সব সময় মনিটরিং করছে।

কয়রা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনুতাপ মন্ডল জানান, কেউ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বীজ বিক্রি করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, উপজেলায় ধান বীজের কোনো সংকট নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এগুলোর সংকট দেখানোর চেষ্টা করছেন।

তিনি আরো জানান, বিএডিসি’র ধানবীজের ডিলারদের বেশি দাম কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

  • শেয়ার করুন