৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১০:৩৭

কয়রায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আটকানোর চেষ্টা

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি ঃ কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের সীমানাবর্তী বীনাপানি নামক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। জানা গেছে, ১লা আগষ্ট (রবিবার) দুপুরের জোয়ারে ১৫০ ফুটের মত বেঁড়ি বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে যাওয়া, বেড়ীবাঁধ বাঁধার জন্য কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম ৪ আগস্ট সকাল ১০ টায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় দুই ইউনিয়ানের শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ আটকানোর কাজ অব্যহত রেখেছে।

বিরতিহীন ভাবে চলছে তাদের কাজ। শেষ পর্যন্ত বাঁধ রক্ষা করেই তারা বাড়িতে ফিরতে চান। বাঁশ, মাটি ও সিমেন্টেরে বস্তা দিয়ে আনুমানিক ১৫০ ফুট ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশমে মেরামত করা হচ্ছে। উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের প্রভাবে ভেঙ্গে যাওয়া গাতীর ঘেরী বেড়িবাঁধ আটকানো সম্ভব না হওয়াতে আবারও এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারনে ওই এলাকার মানুষ আজও পানিবন্ধি হয়ে আছে। দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম সামছুর রহমান বলেন, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতীর ঘেরীর ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ অরক্ষিত থাকার কারনে দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের বীনা পানি নামক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ অব্যহত রয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে। সাতক্ষীরা পানিউন্নয়ন বোর্ড-২এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, বীনাপানি নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানোর জন্য চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এ জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বস্তাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের আঘাতে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতীর ঘেরীর ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আটকানো সম্ভব না হওয়ায় ওই পানির চাপে বীনা পানির বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দীর্ঘদিন টিকাদারী প্রতিষ্টান বেড়িবাঁধের কাজ না করায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। এ জন্য তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন।

  • শেয়ার করুন