২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সকাল ৬:২৭

কয়রা নদীর ভাঙ্গনে বিদ্ধস্ত তেতুলতলা চরের বেড়িবাঁধ

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি ঃ- কয়রা নদীর ভাঙ্গনে বিধবস্ত উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ানের তেতুলতলাচরের পানি উন্নয় বোর্ডের বেড়িবাঁধ । ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিধবস্ত বেড়িবাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় জনসাধারনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্কে। ভাঙ্গনে কয়েকটি পরিবারের বসত ঘর বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে মৎস্য ঘের । ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার। ভাঙ্গন রোধ ও ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী তেতুলতলার চর গ্রামের মানুষ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে এলাকাবাসীর আশংকা।

জানা গেছে, পানিউন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ নং পোল্ডারের মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ানের তেতুলতলার চর গ্রামের পাঁচ’শত ফুট ভেড়িবাঁধ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিধবস্ত হয়ে গেছে। ওই রাস্তা দিয়ে জনসাধারনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সুন্দরবনের কোল ঘেসে কয়রা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধ্বসে গেছে বেড়িবাঁধের মাটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সংকীর্ণ ও খাড়া হয়ে গেছে ভেড়িবাঁধ। যে কারনে দুর্বল বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গনি মোড়ল বলেন, দির্ঘদিন যাবত ভেড়ি বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কিন্তু মেরামতের কোন ব্যাবস্থা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। যার কারনে বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারনে এলাকার মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার বলেন, প্রতি বছর ভাঙ্গন শুরু হলে ডিপিএম এর মাধ্যমে নাম মাত্র কাজ করে অর্থ ভাগাভাগি করা হয়। যে কারনে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ জন্য তিনি পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন বলেন, ঝুকিপূর্ণ ও বিধবস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভেড়িবাঁধের স্পর্শকাতর স্থান গুলোর পরিস্থিতি উল্লেখ পূর্বক প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নিকট পাঠানো হয়েছে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে এলাকার মানুষ বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে।

  • শেয়ার করুন