৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,দুপুর ১:৫৫

ঠিকাদারের অনিয়ম আর অজুহাতে আটকে আছে গাতিরঘেরি ও দশহালিয়া বেড়ীবাঁধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ভেঙে যাওয়া গাতিরঘেরি ও দশহালিয়া গ্রামের বাঁধ মেরামতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। বালু ফেলে বাঁধ মেরামতের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বরাদ্দ বাড়াতে অজুহাত তুলেছেন তারা। টানা তিন মাস জোয়ার-ভাটায় সীমাহীন দুর্দশায় দিন কাটছে সেখানকার দেড়শ পরিবারের। চিংড়ি ও কাঁকড়ার ঘের তলিয়ে থাকায় আর্থিক কষ্টে ভুগছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, দরপত্রের মাধ্যমে ৬৩ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যে দশহালিয়া বাঁধ মেরামতের দায়িত্ব পান ঠিকাদার আব্দুল খালেক। তার হয়ে ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক ওই কাজটি করছেন। অন্যদিকে জাইকার অর্থায়নে গাতিরঘেরি এলাকার ১২শ মিটার বাঁধ ও ১০০ মিটার ক্লোজার নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ৫ কোটি টাকা চুক্তিমূল্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টাপ্রাইজের পক্ষে সাতক্ষীরার আব্দুস সবুর কাজের দায়িত্ব নেন। তারা প্রথমে দুটি বাঁধ মেরামতে একই পদ্ধতি অনুসরণ করেন। খননযন্ত্রের মাধ্যমে বালু ফেলে ভাঙন ঠেকাতে চাইলে স্থানীয় মানুষের বাধায় বন্ধ হয়ে যায় কাজ। পরে মেরামত কাজের জন্য মাটি না পাওয়ার অজুহাত তোলেন ঠিকাদার। একই সঙ্গে ভাঙনের পরিধি বেড়ে যাওয়ার অজুহাত তুলে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন তারা।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গাতিরঘেরি এলাকার কাজের মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকায় কাজ কিনে নেন সাতক্ষীরার আব্দুস সবুর। পরে আড়াই কোটি টাকা চুক্তিতে বেলাল হোসেন নামে একজন শ্রমিক সরদার ওই কাজ শেষ করার দায়িত্ব নেন। তিনি চারটি খননযন্ত্রের মাধ্যমে নদী থেকে বালু তুলে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেন। এতে ভাঙনের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।

শ্রমিক সরদার বেলাল হোসেন বলেন, ক্লোজারের চার পাশে পানি থাকায় মাটি পাওয়া সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে নদী থেকে বালু তুলে ভরাট করার চেষ্টা করেছি। তবে কাজের নকশায় মাটি, বাঁশ-বল্লি ও বালুর বস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঠিকাদার আব্দুস সবুর আড়াই কোটি টাকায় কাজ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ। তাদের অনুরোধে তিনি ওই কাজের দায়িত্ব নেন। আজ পর্যন্ত কাজের মূল নকশা পাননি। এতে কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক সুব্রত পাল চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণের অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে তাকে সতর্ক করে দিয়েছি। এ ধরনের আর কোনো অভিযোগ পেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • শেয়ার করুন