৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১১:১৪

পরিমনিকে বারবার রিমান্ড নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় না মেনে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আদালত বলেছেন, ‘রুল রিটার্ন (পরীমনির জামিন আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল) হয়ে আসুক, এরপর দেখব।’

একই বেঞ্চে পরীমনির জামিন আবেদন দ্রুত শুনানির প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার আবেদনটি দাখিল করার কথা জানান আইনজীবী।

আবেদনের ভাষ্য, তিন দফায় সাত দিনের মধ্যে প্রথমে চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুই দিন ও তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত দীর্ঘ সময় রিমান্ডে নেওয়া হয়ে থাকে। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনগুরুত্ব বিষয়ে গুরুতর মামলায় আদালতের এত দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিতে দেখা যায়। পরীমনিকে এত দিনের রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের চেতনা, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার (আটক ও রিমান্ড–সংক্রান্ত) লঙ্ঘন।

এসব দিক বিবেচনায় স্বতঃপ্রণোদিত রুল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা এবং তিন দফায় পরীমনির ১৯ দিন রিমান্ডের প্রার্থনা কেন বেআইনি হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। আদালতে পরীমনিকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া কেন বেআইনি হবে না, তা নিয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। আসকের পক্ষে আবেদনটি করেছেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

এর আগে বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ আগস্ট তাঁকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র‍্যাব। এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তিনি এখন কারাগারে। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জামিন চান।

  • শেয়ার করুন