৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,বিকাল ৫:৫৭

বিশ্বমানের নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২

  • শেয়ার করুন

বাংলাদেশে বিশ্বমানের নির্বাচন করতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক   নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। গতকাল জাতীয় নির্বাচন কমিশনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। মাহবুব তালুকদার বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের একটাই চ্যালেঞ্জ। তা হলো- সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করা। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

আগামী জাতীয় নির্বাচন বিশ্বমানের হতে হবে। বিশ্বমানের নির্বাচন করতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার। গ্রহণযোগ্য সরকারই কেবল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয় নির্বাচনের প্রতিটি আসনে অধিষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের পদে বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারণা বাতুলতা মাত্র। নির্বাচনের পূর্বে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ না করলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।  তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের তাদের নিজস্ব এলাকায় রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এখানে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করা প্রয়োজন। যদি একান্তই জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে তাদের ভিন্ন জেলায় বদলি করা আবশ্যক।বর্তমানে সংলাপের যে ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা আমার কাছে গতানুগতিক মনে হয়। বিগত কমিশনগুলোর সংলাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আমন্ত্রিত সুধীজন প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। ইভিএম বা ভোটকেন্দ্রের পাহারা এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ নয়। তিনি বলেন, আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিশ্বমানের নির্বাচন করতে হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করতে হবে। পুলিশের কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সংলাপ প্রয়োজন। আমি যে রূপরেখা উপস্থাপন করলাম তার বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করা অপরিহার্য। অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি ও অন্যান্য বিধিবিধান পরিপালনে শূন্য সহিষ্ণু নীতির কোনো বিকল্প নেই। সংবিধান সংশোধন না করা হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পরিবর্তন করা যাবে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পরিবর্তন অত্যাবশ্যকীয়-অবশ্যম্ভাবী।

  • শেয়ার করুন