৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,বিকাল ৫:৪৫

খাবার পানির চাহিদা মেটাতে কয়রার মহেস্বরীপুর ইউনিয়নে পুকুর সংস্কার

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১

  • শেয়ার করুন

কয়রায় দু’টি পুকুর থেকে হাজারও মানুষের খাবার পানির চাহিদা মিটছে

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি ঃ খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ানের সাতহালিয়া ও কালিকাপুর গ্রামের ২ টি পুকুর হতে কয়েক হাজার মানুষের খাবার পানির চাহিদা মিটছে। জানা গেছে, কয়রা উপজেলার ৩ নং মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে দির্ঘদিন খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাবার পানির চাহিদা মিটাতে (লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন কাইমেট চেঞ্জ-লজিক) প্রল্পের অর্থায়নে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা ব্যায়ে সাতহালিয়া ও কালিকাপুর গ্রামে ২ টি পুকুর পরিবেশ দুষনের হাত থেকে রক্ষা করে খাবার পানির পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছেন।

পরিবেশ দুষনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বেজ ঢালাই এর মাধ্যমে পাকা পিলার তৈরী করে কাটা তারের বেড়া দিয়ে খাবার পানির পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। এবং নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যাতে কোন জীবজন্তু পুকুরে প্রবেশ করতে না পারে। পুকুর হতে পানি নিতে যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য পাকা ঘাট করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সাতহালিয়া, কালিকাপুর, গিলাবাড়ি, মহেশ্বরীপুর, উলা, খোড়লকাটি, চৌকুনী ও তেতুলতলারচর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ঐ পুকুর থেকে পানি নিয়ে পান করছে।

সাতহালিয়া গ্রামের পুকুর পাড়ের বাসিন্দা নাসির মোড়লের স্ত্রী আনোয়ারা (৭০) বলেন, চেয়ারম্যান পুকুরের সমস্ত পাশে ঘেরা বেড়া দিয়ে সুন্দর পরিবেশে খাবার পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন আমাদের খাবার পানির কোন সমস্য নেই । কত দিন যাবৎ পুকুরের পানি পান করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই খানের আমল থেকে যে দিন পরের ঘরে আইসি সেইদিন থেকে পুকুরের পানি খাই। কালিকাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র ইউনুস আলী (৫০)বলেন, কালিকাপুর বটতলার পুকুটি খাবার পানির পরিবেশ তৈরী করে দেয়ার কারনে এলাকার মানুষের খাবার পানির যে সংকট রয়েছে তা আর থাকবে না।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার বলেন, খাবার পানির জন্য ইউনিয়নের মানুষের ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছোটাছুটি করতে হয়। খাবার পানির চাহিদা মিটাতে সাতহালিয়া ও কালিকাপুর গ্রামে ২ টি পুকুর পরিবেশ দুষনের হাত থেকে রক্ষা করে খাবার পানির পরিবেশ তৈরী করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে এলাকার ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের খাবার পানির চাহিদা মিটবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, উপজেলার অধিকাংশো এলাকায় টিউবওয়েল সাকসেস না, সে জন্য খাবার পানির সমস্যা লাঘবে বেশি করে পুকুর খনন এবং পুকুর গুলি ঘেরা -বেড়া দিয়ে খাবার পানি ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিজিএলজি)মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ওই এলাকার মানুষ যাতে ভালো পরিবেশে পানি নিয়ে পান করতে পারে সে জন্য লজিক প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুরের চারি পাশে ঘেরা বেড়া দেয়া হয়েছে। যেন কোন জীবজন্তু পুকুরে প্রবেশ করতে না পারে।

  • শেয়ার করুন