২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ৪:৫৭

শিরোনাম
কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন  আজ তারেক রহমানের জন্মদিন দুদকের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্লুইস গেটের কাজ দেয়ার পয়তারা কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হকের মতবিনিময় কয়রায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে র ্যালী ও আলােচনা সভা কয়রায় মিথ্যা মামলা দি‌য়ে হয়রা‌নি করার প্রতিবা‌দে সংবাদ স‌ম্মেলন কয়রায় অজগার সাপ উদ্ধার পরে সুন্দরবনে অবমুক্তি কয়রায় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তোপের মুখে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম কয়রায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

সুন্দরবনে রাস পুজা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা প্রতিনিধিঃ আর মাত্র কয়েকদিন পর সাগর দ্বীপে আলোর কোলে অনুষ্ঠিত হবে রাস পুজা। হাজার হাজার পুন্যার্থীদের আগমনে রাস পুজা হয়ে উঠবে উৎসবমুখর। তবে এ বছর সনাতন ধর্মলম্বী লোক ছাড়া রাস পুজায় কেউ প্রবেশ করতে
পারবেনা। ইতিমধ্যে রাস পুজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের উদ্যোগে বনজ সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুবলার চরের অনুষ্ঠিত হবে এই রাস পুজা।

প্রতি বছর কার্ত্তিক অগ্রহায়ণের শুক্লাপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পার্থিব জীবনের কামনা বাসনা পূরণের লক্ষ্যে সুন্দরবনের শেষ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের তীরে দূবলার দ্বীপে এক নিবীড় পরিবেশে হাজির হয়। সেখানে সূর্যোদয়ের সাথে সমুদ্র স্নান করে পবিত্র হয়ে ভগবানের কাছে আরতী জানায়। অসংখ্য হিন্দু নর-নারী গঙ্গাসাগরের মত তীর্থস্থান মনে করে এই রাস পুজায় উপস্থিত হন।

খুলনা রেঞ্জের নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, রাস পুজায় নির্বিঘ্নে তীর্থ যাত্রীরা যেতে পারে তার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। অন্যদিকে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ বলেন, রাস পুজায় পুন্যার্থীরা ১৭ নভেম্বরের আগে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাস পুজাকে কেন্দ্র করে গতকাল ১৪ নভেম্বর সকাল ১০ টায় খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান, বানিয়াখালী স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল, কালাবগী স্টেশন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, সুতারখালী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান সহ রেঞ্জের অধিনস্থ সকল স্টেশন ও টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন। সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় যে, ১৫ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সার্বক্ষনিক টহল কার্যক্রম চালাবে বন বিভাগ। ১৪ নভেম্বরের পর কোন ব্যাক্তি সুন্দরবনে প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নির্ধারিত সময় ছাড়া কোন লোক সুন্দরবন অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না।

পুজার শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুন্দরবনে শব্দ দুষণরোধে রাশ মেলাস্থল ও যাতয়াত রুটে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। সকল প্রকার শব্দ দুষণ, বিনা অনুমতিতে প্রবেশরোধ, চোরাশিকার ও দস্যুতা রোধে নৌবাহিনী, বন বিভাগ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করবে বলে জানানো হয়।

বন বিভাগ থেকে পুজা স্থলে যাওয়ার জন্য ৮ টি নৌ-রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে বাটুলা নদী, বল নদী, পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর, কদমতলা হয়ে ইছামতি, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাশিয়া থেকে কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর, কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদারগাঙ-খোপড়াখালী- ভাড়ানী- দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাশিয়া থেকে কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর, কয়রা-কাশিয়াবাদ-খাসিটানা-বজবজা হয়ে আড়–য়া শিবসা থেকে শিবসা নদী মরজাত হয়ে দুবলার চর, নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা- মরজাত নদী হয়ে দুবলাচর, ঢাংমারী- চাঁদপাই স্টেশন- শেলার চর হয়ে দুবলাচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলারচর হয়ে দুবলাচর এবং বাগেরহাটের শরণখোলা স্টেশন, সুপতি স্টেশন, কচিখালী- শেলার চর হয়ে দুবলার চর রাস পুজায় যেতে পারবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে রাস পুজাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বন বিভাগের অভিযান পরিচালনার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি নিজেই টহল কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবেন বলেও জানান।

  • শেয়ার করুন