প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন এসব বলেন
আফগানিস্তান যখন তালেবানদের দখলে তখন অনেকেই বলছেন আফগান নারীরা কাবুলে ঘরে বন্দি, তাদের জীবন এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
ঠিক এরকম এক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেছেন এবারের তালেবান শাসনামলে নারাীরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পারবেন। এছাড়া ঘরের বাইরে যেতে হিজাব পরলেই চলবে, বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয়।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নারীরা মাথায় হিজাব পরেছেন কি না সেটা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে পুরো শরীর ঢাকা বোরকা পরতেই হবে এমন নয়। অনেক ধরনের হিজাব রয়েছে। বোরকা আর হিজাব একই জিনিস নয়। তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোয় হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে মেয়েরা পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। নারী শিক্ষার বিষয়ে তালেবানের ইতিবাচক নীতির কথা এর আগে মস্কো ও দোহা সম্মেলনেও বলেছি।”
এদিকে, তালেবান তাদের সরকারে নারীদের যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে বাহিনীটির সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য ইনামুল্লাহ সামানগানি।
তিনি বলেন, “শরিয়াহ আইন অনুযায়ী সরকারে নারীদের উপস্থিতি থাকা উচিত। এখনও সরকারের কাঠামো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে পুরোপুরি ইসলামিক নেতৃত্ব থাকবে। এতে সবপক্ষেরই যোগ দেওয়া উচিত।”
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) “এই তালেবান ২০ বছর আগের তালেবান নয়” বলে উল্লেখ করেছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বিশ বছর আগেও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র ছিল। আজও আমাদের দেশ মুসলিম রাষ্ট্র। কিন্তু অভিজ্ঞতা, পরিপক্কতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে বিশ বছর আগের তালেবানের সাথে আজকের তালেবানের বিশাল তফাত রয়েছে। আমরা এখন যেসব পদক্ষেপ নেব তার সাথে ওই সময়কার তফাত রয়েছে। আর এটা বিবর্তনের ফসল।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবান শাসনামলে নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি ছিল না। নারীদের চাকরি করা নিষিদ্ধ ছিল। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের ভ্রমণের অনুমতিও ছিল না।