কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রায় ধর্ষণ চেষ্টা ও জীবননাশের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভাগবা গ্রামের রবিউল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রবিউল ইসলাম জানান,গত ৮ অক্টোবর হড্ডা গ্রামের মোঃ ফজলু মোল্যার ছেলে সবুজ মোল্লা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যামে ধর্ষণ চেষ্টা ও জীবননাশের হুমকি ধামকির অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ করেন। তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমি দীর্ঘদিন ধরিয়া দেশের বিভিন্ন ইট ভাটায় শ্রমিক সরদারের কাজ করে আসিতেছি।হড্ডা গ্রামের সবুজ মোল্লা ও তার স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন সহ ১০ জন লেবার সরবরাহ করবে বলে অনুনয় বিনয় করিতে থাকে কিন্তু আমি রাজি হয়নি।পরে চলতি বছরের জন্য ১শ টাকা মূল্যমানের নন জুডিশিয়াল ০৬টি ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাদের সাথে সাবে কাজ দেই।এসময় দাদন হিসেবে সবুজ কে ৩ লক্ষ টাকা, ঝর্ণা খাতুন কে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। বর্তমানে ইট ভাটার মৌসুম শুরু হইলে আমি সবুজ ও ঝর্ণা খাতুন কে আমার ইট ভাটায় লেবার সরবরাহের জন্য বলিলে সবুজ ও ঝর্ণা খাতুন আমার ইট ভাটার লেবার সরবরাহ করিবে না বলে জানায়।এমতাবস্থায় আমি সবুজ ও ঝর্ণা খাতুন এর নিকট আমার দাদনের টাকা ফেরত চাহিলে সবুজ ও ঝর্ণা খাতুন আমার পাওনা টাকা আজ ফেরত দিবে, কাল ফেরত দিবে মর্মে ঘুরাইতে থাকে। সর্বশেষ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির সম্মুখে ০৬ অক্টোর উক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে। ওই দিন বিকাল ৪ ঘটিকার সময় আমি ও আমির পিতা টাকা নেওয়ার জন্য সবুজ ও ঝর্ণা খাতুনের বাড়ীতে যাই। সবুজ ও ঝর্ণা খাতুনের বাড়ীতে যেয়ে পাওনাকৃত টাকা চাহিলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমাকে টাকা দিবে না বলিয়া হুমকি প্রদান করে।এসময় সবুজ ও ঝর্ণা খাতুন, রহমান গাজী, সোহবরা আলী, ইয়াছিন গাজী ও খানজু গাজী সহ ব্যক্তিদের হুকুম দিয়া বলে যে শালাকে জীবনে শেষ করিয়া দিয়া টাকা নেওয়ার সাধ মেটাইয়া দে। বলার সাথে সাথে উক্ত ব্যক্তিগণ একজোট হইয়া আমাকে সহ আমার পিতার শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া নীলাফুলা জখম করিয়া এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে আসে। এছাড়া পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ঝর্ণা খাতুন বার বার প্রকাশ করিতে থাকে যে, তুই উক্ত টাকা চাহিলে তোর নামে ধর্ষণের মামলা দিয়া তোকে হয়রানি করিয়া ছাড়িব এবং অত্র এলাকাতে আমি সকলকে জানাইয়া দিবো যে, তুই আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিস মর্মে হুমকি প্রদান করিতে থাকে। এ সময় আমি ও আমার পিতা উক্ত ব্যক্তিদের হাত হইতে জীবনে বাঁচার জন্য আত্ম চিৎকার করিতে থাকিলে আশে পাশে থাকা লোকজনও স্বাক্ষীগণ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া উক্ত ব্যক্তিদের হাত হইতে আমাদের কে উদ্ধার করে।