১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সন্ধ্যা ৬:২৯

কয়রায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ আহত ৪

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

কয়রা প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নে ৬নং কয়রার গুড়িয়াবাড়ী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোস্তাফা শেখের বাড়িতে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই গ্রামের সোহরাব সরদারের নেতৃত্বে এ হামলা চালনো হয়। হামলায় মোস্তফা শেখ, তার পুত্র ও পুত্রবধুসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছে আয়শা খাতুন (২৫) ও হারুনা খাতুন (৪৫) নামে দুই নারী। গত বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কয়রা সদর ইউনয়নের ৬ নং কয়রা গুড়িয়াবাড়ি এলাকার মোস্তফা শেখের প্রতিবেশী মৃত অছির উদ্দীন সরদারের ছেলে সোবহান সরদার ও আকবর সরদার এর সাথে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যায় সোবহান, আকবর এবং চিহ্নিত কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে মোস্তফা শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নানাবিধ হুমকিসহ মোস্তফা শেখের দখলকৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। ভুক্তভোগীরা নিজ বসতবাড়ি রক্ষায় তাদের বাঁধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে জখম করে মোস্তফা শেখের পরিবারকে। এ সময় শীলতাহানি ও হেনস্তা করা হয় দুই নারীকে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মোস্তফা শেখ জানান, দীর্ঘদিন আমরা ভিপি লীজ ২২০/৭৬-৭৭ নং কেসের ০.৪৮ একর জমি ডিসিআর মূলে ০.০৫ একর বাস্তু ভিটা ও ০.৪৩ একর বিলান জমি প্রাপ্ত হয়ে ওই জমিতে বসবাস ও ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু হামলাকারী সোবহান সরদারদের পক্ষে কোনো কাগজ-পত্র না থাকার পরও আমার জমি তাদের বলে দাবি করে। এরই জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। আমি ও আমার পরিবার যেকোনো সময় জান-মালের বড় ধরণের ক্ষতি ও জীবননাশের আশংকা করছি। এবিষয়ে গত ১৬ অক্টোবর সোবহান সরদার ও আকবর সরদারের নামে থানায়ে একটি সাধারণ ডায়রী এবং ১৯ অক্টোবর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আমার জমি জবর-দখল করার চেষ্টা ও খুন জখমের আশঙ্কায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, উল্টো সোহরাব সরদার আমাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ অতর্কিত হামলা-মারপিট প্রথম নয়। এর আগেও তারা কয়েকবার আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করেছে।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হোসেন বলেন, হামলার ঘঠনা শুনেছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত করেছি। কারও অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • শেয়ার করুন