২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১১:২৮

শিরোনাম

ফোন দেওয়ায় সাংবাদিকের সাথে পিআইও’র অশোভন আচরণ

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২

  • শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথমবার মোবাইলে কল করে না পেয়ে দ্বিতীয়বার কল করায় সাংবাদিক তরিকুল ইসলামের সাথে উগ্রভাষায় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন খুলনার কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাগর হোসেন সৈকত। সাংবাদিক তরিকুল অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলনা গেজেটের নিজস্ব প্রতিবেদক ও দৈনিক নবচেতনার খুলনা জেলা প্রতিনিধি এবং রূপসা প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ।এদিকে (৮ মে) সকালে এ ঘটনার পর উগ্রভাষায় থ্রেটমূলক কথা বলার অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে খুলনার সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।এ ব্যাপারে সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম বলেন, কয়রা উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও মজুরী না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাগালী ইউনিয়নের উপকারভোগী ফিরোজা বেগম।

তিনি আরও বলেন, কাজ করার পর অন্যদের টাকা আসলেও তার নির্ধারিত নগদ এ্যাকাউন্টে ২য় দফার ৬ হাজার টাকা পাননি। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানিয়েছেন। তবে কাজ শেষের ২ মাস অতিবাহিত হলেও কোন সমাধান পাননি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমি রবিবার (৮ মে) সকালে কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্ববায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকতের কাছে তার অফিসিয়াল মুঠোফোনে কল করি। প্রথমবার কল না ধরায় পুনরায় কল করলে তিনি রিসিভ করেই কোন কথা না শুনেই আমার সাথে চরম অসাদাচরণ করেন। তিনি উগ্রভাষায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন । পিআইও সাগর কথা বলার সুযোগ না দিয়েই উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘আপনি কি ইম্পরটেন্ট পারসোন নাকি? আপনি দু’বার ফোন দিবেন মিয়া? আপনার সিম্পল জ্ঞান নাই, আপনারা মিয়া সাংবাদিক হন মিয়া, কিসের সাংবাদিক ফোন রাখেন’ বলেই ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, এ ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ৪টি গ্রুপে মোট ২১৪ জন লোক কাজ করেন। ২৯ জানুয়ারী কাজ শুরু হওয়ার পর একটানা ২৮ দিন চলে। পরে মাঝে মধ্যে কাজ করিয়ে ৪০ দিনের কাজ শেষ করা হয়। প্রত্যেককে তাদের নিজ নামের নগদ এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩টি ধাপে টাকা পরিশোধ করা হয়। ২য় ধাপের ৬ হাজার টাকা পাননি ভুক্তভোগী ফিরোজা বেগমসহ আরও ২/৩ জন।এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান জানান, আমরা অফিসে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত টাকা পাবেন। অফিস থেকে বলেছে টাকা সিমে এসেছিলো কি-না সেটার তদন্ত করবে।

এব্যাপারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ করা ঠিক না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

অপরদিকে, কর্মরত সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ হারুণ অর রশিদ,সহ সভাপতি মোঃ সদর উদ্দীন আহমেদ, শেখ মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াছাদ আলীসহ প্রেস ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার সাংবাদিকের সাথে এধরনের অসৌজন্যমূলক আচরন মোটেও ঠিক হয়নি।

সোমবার (৯ মে) বিকেল এ ব্যাপারে জানতে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • শেয়ার করুন