১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ১০:১২

সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলব দুরভিসন্ধিমূলক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

 

সাংবাদিকদের মনে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতেই সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে বলে মনে করছেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবেন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে চিঠি দেয়।

সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনসমূহের নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক বলে অভিহিত করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে এই ১১ জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

তিনি বলেন, ‘দেশের পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব এভাবে তলব করা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কেননা এর আগে কোনো দিন কোনো সময়ে এরকম ঘটনা ঘটেনি।’

‘কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠনসমূহের নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের নামে ঢালাওভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক বলে আমরা মনে করি।’

এই পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএফআইইউর দেওয়া চিঠি গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় সমাজের মানুষের কাছে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তথা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

একইসঙ্গে বলা হয়, ‘আমাদের নেতৃবৃন্দের ব্যাংক হিসাবে যদি কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা কোনো ধরনের মানি লন্ডারিং কিংবা জঙ্গি অর্থায়নের তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়, তা যেন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আর যদি তা না হয়, তবে সেটাও যেন যথাযথ গুরুত্বের সাথে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ইন্টেলিজেন্স ইউনিট যে কারণে ব্যাংক হিসাব তলব করে তার কিন্তু সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে। যদি কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন থাকে বা জঙ্গি অর্থায়নে সাস্পেক্ট করা হয়…তবে আমাদের এমন কোনো অভিযোগের কারণ নেই। আমি সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। তথ্যমন্ত্রী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলনে এসেছিলেন। ওনাকে জিজ্ঞেসা করেছি। উনিও বলছেন উনি কিছুই জানেন না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিকে উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, ‘আমরা বিস্মিত যে এভাবেও কোনো চিঠি হয়। তারা ১২ তারিখে চিঠি জারি করেছে। আমরা জেনেছি গণমাধ্যমে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপিপন্থি) বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএনপিপন্থি) ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

  • শেয়ার করুন