২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,ভোর ৫:১৪

শিরোনাম
কয়রায় প্রতারণা করে বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন  আজ তারেক রহমানের জন্মদিন দুদকের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্লুইস গেটের কাজ দেয়ার পয়তারা কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হকের মতবিনিময় কয়রায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে র ্যালী ও আলােচনা সভা কয়রায় মিথ্যা মামলা দি‌য়ে হয়রা‌নি করার প্রতিবা‌দে সংবাদ স‌ম্মেলন কয়রায় অজগার সাপ উদ্ধার পরে সুন্দরবনে অবমুক্তি কয়রায় যুব দিবসের আলোচনা সভায় তোপের মুখে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম কয়রায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ফেরার পথে আটকে রাখলেন এ এস আইঃ মারা গেলেন বাবা

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরায় অসুস্থ বৃদ্ধ বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার পথে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে পুলিশ ছেলেকে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। এ সময় অক্সিজেনের অভাবে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ওই বৃদ্ধের নাম মো. রজব আলী মোড়ল (৬৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা।

বৃদ্ধ রজব আলী মোড়লের ছেলে ওলিউল ইসলাম বলেন,‘করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবার জন্য জরুরি অক্সিজেনের দরকার হওয়ায় তিনি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার ব্যবসায়ী আল ফেরদৌস আলফার কাছ থেকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে তার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছলে তাকে আটক করেন ইটাগাছা ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র। লকডাউনে বাইরে বেরিয়েছে বলে তিনি তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় তাকে দুই ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখা হয়। পরে ইটাগাছা এলাকার জিয়াউল ইসলাম নামে একজনের মধ্যস্থতায় ২০০ টাকা নিয়ে এএসআই সুভাষ চন্দ্র তাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাড়িতে গিয়ে দেখেন অক্সিজেনের অভাবে তার বাবা মারা গেছেন।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যদি সময়মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারতাম তাহলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত।’ তিনি এই অমানবিক ঘটনার বিচার দাবি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির একাধিক সদস্য বলেন, ‘সুভাষের কারণে পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এলাকার যত জমির ঝামেলা আছে সেগুলোর মধ্যে তিনি জড়িয়ে পড়েন। অনেকে তাকে ল্যান্ড সুভাষ নামে চেনেন।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র বলেন, বেপরোয়া গতিতে আসছিল মোটরসাইকেলটি। কাগজপত্রও ছিল না। পরে ঘটনা শুনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অল্প কিছু সময় মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এএসআই সুভাষ চন্দ্র এ বিষয়ে নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ সম্পর্কে আরও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

  • শেয়ার করুন