২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,বিকাল ৩:৪১

ডিপো মালিক আওয়ামিলীগ নেতা এটাই তার খুঁটির জোর; রুমিন ফারহানা

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২

  • শেয়ার করুন

 

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনাকে দুর্ঘটনা নয় বরং হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন বিএনপি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, এটাই তার খুঁটির জোর।

ক্ষমতাসীন দলের এমন একটি পদে থেকে কোনো নিয়মকানুন মানার প্রয়োজনীয়তা সম্ভবত তিনি বোধ করেননি। ডিপোর মালিকপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করে রুমিন বলেন, দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনো ডিপোর মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোমবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।ডিপোর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রুমিন বলেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড।

চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদপ্তর বলেছে, ওই ডিপোতে দাহ্য পদার্থ রাখার বিষয়টি তাদের জানানো হয়নি। এ ধরনের পণ্য সংরক্ষণে বিশেষ ধরনের অবকাঠামো দরকার, কিন্তু ওই ডিপোতে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। অনুমোদন না নিয়ে ডিপোতে কেমিক্যাল রাখা হয়েছিল। রুমিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসও বলেছে, ডিপোর মালিকপক্ষের কেউ সেখানে কেমিক্যাল রাখার বিষয়টি তাদের জানায়নি। সেটা তাদের জানা থাকলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাতে বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যেত। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা হয়তো এত হতো না। এই জীবনগুলো ঝরে গেছে কনটেইনার ডিপোর মালিকের চরম উদাসীনতায়।

রুমিন বলেন, দেশে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করার সংস্কৃতি নেই। তাই তিনি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চান না। সীতাকুণ্ডের ঘটনা নিয়ে জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বলেন, এ ঘটনার পেছনে কোনো নাশকতা রয়েছে কি না, সরকার তদন্ত করে তা বের করবে। যদিও এসব ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখে না।

আবু হোসেন প্রশ্ন রাখেন, একটি জনবহুল এলাকাতে কীভাবে ডিপোর মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য থাকে, ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়, কিন্তু কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয় না।

  • শেয়ার করুন